বিচারব্যবস্থায় নিরপেক্ষতা ও আত্মপক্ষ সমর্থন বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে না শুনেই প্রথম পক্ষের ইসলামী আইন কথার ওপর ভিত্তি করে রায় দেবে না। (তিরমিজি)। মাে, আলী এরশাদ হােসেন আজাদ রাসুল (সা.) আরাে বলেন, “তােমার কাছে যখন দুজন লােক বিচারের জন্য আসে, তখন তুমি ইসলাম ন্যায়সংগত বিচারের নিশ্চয়তা দেয়।
তাদের মাঝে ফয়সালা করবে না, যতক্ষণ না পবিত্র কোরআনের নির্দেশ, ন্যায়সংগত বিচার দ্বিতীয় পক্ষের বক্তব্য শুনবে, যেভাবে তুমি প্রথম করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়বিচারকারীদের পক্ষের কথা শুনেছ। যখন তুমি এরূপ করবে, ভালােবাসেন।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৪২)।
তখন তােমার কাছে ফয়সালার বিষয়টি সুস্পষ্ট কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক ইসলামী আইনে হবে।’ (মুসনাদ আহমদ) পরিমার্জনের প্রয়ােজন হয় না। মানবরচিত অভিযুক্ত ও অভিযােগকারীর প্রতি সমব্যবহার আইন সংশােধন পরিমার্জনের ধারায় আবর্তিত বিচারকার্যে ধনী-গরিব, ছােট-বড়, উঁচু-নিচুর হয়।
ভারতের সংবিধান সংশােধন হয়েছে ৯৩ মধ্যে কোনাে পার্থক্য করা যাবে না। প্রিয় নবী বার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বার। (সা.) বলেন, “নিশ্চয়ই মানুষ এমন এক শ বাংলাদেশের সংবিধানের ৫০ বছরের ইতিহাসে উটের মতাে, যাদের মধ্য থেকে তুমি একটিকেও ১৭টি সংশােধনী হয়েছে।
বাহানের উপযােগী পাবে না।’ (বুখারি)। ইসলামের বিঘােষিত নীতি ও পৃথিবীতে প্রিয় নবী অর্থাৎ ইসলামে সব মানুষই সমান। মানুষের। (সা.) শুভাগমনের বাস্তবতা প্রসঙ্গে তাঁরই (সা.) মধ্যে আশরাফ-আতরাফ সবার মর্যাদা সমান। ভাষায় পবিত্র কোরআনে আছে, তােমাদের বিদ্বেষ পােষণ না করা। মধ্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমি আদিষ্ট
শত্রুতা, বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে বিচারের বিরুদ্ধে হয়েছি।’
(সুরা শুরা, আয়াত : ১৫)। পবিত্র কোরআনের হুঁশিয়ারি, কোনাে গােষ্ঠীর মহান আল্লাহ আরাে বলেন, “তােমরা যখন প্রতি বিদ্বেষ যেন তােমাদের সুবিচার বর্জনে মানুষের মধ্যে বিচারকার্য পরিচালনা করবে। প্ররােচিত করে।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত : তখন তা সাধ্যমতাে ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে করবে।’
(সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮) দুর্নীতিমুক্ত বিচার ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে প্রিয় নবী (সা.) ও সাহাবি ন্যায়বিচারের অন্যতম অন্তরায় দুর্নীতি। ঘুষ যুগের অসংখ্য দৃষ্টান্ত আছে। ফাতেমা নামের বাণিজ্য ইসলামে হারাম। আবু হুরায়রা (রা.) এক সম্ভ্রান্ত মহিলার চুরিরদণ্ড মাফের সুপারিশ বর্ণিত, বিচারের ক্ষেত্রে ঘুষ গ্রহীতা ও ঘুষ শুনে প্রিয় নবী (সা.) উচ্চারণ, “তােমাদের প্রদানকারীকে রাসুলুল্লাহ (সা.) অভিসম্পাত পূর্ববর্তী জাতি এ জন্যই ধ্বংস হয়েছে যে তাদের করেছেন।’
(তিরমিজি) সাধারণ লােকেরা চুরি করলে শাস্তি কার্যকর বস্তুত ন্যায় ও সত্যের বিরুদ্ধে অবস্থান মানবতা, করত। কিন্তু সম্রান্তরা চুরি করলে তাদের কোনাে মহান আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তােমাদের আদেশ দিচ্ছেন, তােমরা নৈতিকতার পরিপন্থী। শিক্ষিত, দায়িত্বশীলরা শাস্তি দিত না।
সেই মহান সত্তার শপথ যার যখন লােভ-লাভের স্বার্থে-শর্তে অন্যায় সিদ্ধান্ত হাতে আমার প্রাণ। যদি মুহাম্মদের কন্যা আমানতসমূহকে তার যথার্থ হকদারদের কাছে পৌছে দাও। আর যখন তােমরা লােকদের
দেন তখন বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদে। ফাতিমাও চুরি করত তবে আমি তার হাত কেটে মধ্যে বিচার করবে, তখন ন্যায়বিচার করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮) সাধারণ মানুষ হয়ে ওঠে অসহায়, নিঃস্পৃহ। দিতাম।’ (বুখারি)।
মহান আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়-কল্যাণের গুরুত্ব বােঝাতে প্রিয় নবী (সা.) তােমাদের আদেশ দিচ্ছেন, তােমরা বলেন, “বিচারক তিন শ্রেণির। দুই শ্রেণির বিচারক তিনি, যিনি অজ্ঞতার ওপর মানুষের মুহূর্তে রক্ত উত্তপ্ত থাকে, মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি বিচার-ফয়সালা করবে না।’ (মুসলিম) আমানতসমূহকে তার যথার্থ হকদারদের কাছে। বিচারক জাহান্নামি এবং এক শ্রেণির বিচারক বিচার-ফয়সালা করেন, তিনি জাহান্নামি।
লােপ পায় এবং তখন ন্যায়-অন্যায় পার্থক্য বাদী-বিবাদীর বক্তব্য শােনা। পৌছে দাও। আর যখন তােমরা লােকদের মধ্যে জান্নাতি। যিনি জান্নাতে যাবেন তিনি হলেন ওই (মিশকাত) করতে পারে না। ইসলামে রাগান্বিত অবস্থায় ইসলামী ব্যবস্থায় বাদী-বিবাদীর বক্তব্য শােনার বিচার করবে, তখন ন্যায়বিচার করবে।’
(সুরা বিচারক, যিনি হকবুঝে সে অনুযায়ী বিচার- ইসলামে বিচারকের কর্মপদ্ধতি স্পষ্টভাবে বিচার-ফয়সালা করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর রায় দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এক পক্ষের নিসা, আয়াত : ৫৮)। ফয়সালা করেন। দ্বিতীয় প্রকার ওই বিচারক, ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যেমন :
আবদুর রহমান ইবনু আবু বাকরা (রা.) বলেন, বক্তব্যের ভিত্তিতে রায় নিষিদ্ধ। প্রিয় নবী (সা.) লেখক : সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান। যিনি সত্যকে জানেন; কিন্তু বিচার-ফয়সালায় রাগ-অনুরাগের বশবর্তী না হওয়া ‘আমি নবী করিম (স.)-কে বলতে শুনেছি, বলেন, তােমার কাছে যখন দুজন লােক বিচারের ইসলামিক স্টাডিজ, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ জুলুম করেন, তিনি জাহান্নামি।
তৃতীয় প্রকার চিকিৎসা বিজ্ঞান, মনােবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রাগের কোনাে বিচারক রাগান্বিত অবস্থায় দুজনের মধ্যে জন্য আবেদন করে, তখন তুমি দ্বিতীয় পক্ষের।
কাপাসিয়া, গাজীপুর
- এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।