চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম ইস্কেমিক স্ট্রোক । কখনাে কখনাে স্বল্প সময়ের জন্য স্ট্রোকের উপসর্গ দেখা দেয়। এর নাম মিনি স্ট্রোক। স্ট্রোকের লক্ষণ : হাত-পা, এমনকি মুখ অসার হওয়া বা পক্ষাঘাতগ্রস্ততা বা প্যারালাইসিস; কথায়। জড়তা কিংবা অন্যের কথা বুঝতে না পারা; হঠাৎ ঝাপসা দৃষ্টি, মাথাব্যথা, খিচুনি, অচেতুনতা, খাবার গিলতে না পারা, প্রস্রাব-পায়খানার নিয়ন্ত্রণহীনতা ইত্যাদি লক্ষণ সচরাচর স্ট্রোকে দেখা যায়। স্ট্রোক প্রতিরােধে করণীয় : ৮০ শতাংশ স্ট্রোক। প্রতিরােধযােগ্য। প্রতিরােধে করণীয় হলাে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি ৪ প্রতি তিন সেকেন্ডে বিশ্বের একজন মানুষ স্ট্রোকে থেকে ৬ গুণ বাড়িয়ে দেয় । এটি স্ট্রোকের অন্যতম আক্রান্ত হচ্ছে।
শতকরা ১০ থেকে ২০ ভাগ বড় ঝুকি। উচ্চ রক্তচাপের ফলে রক্তনালির পুরুত্ব আকস্মিক মৃত্যর পেছনে দায়ী স্ট্রোক। অনেকে বেড়ে যায়। রক্তনালির অভ্যন্তরে কোলেস্টেরল ও স্ট্রোকই হৃদপিণ্ডের অসুখ বলে মনে করেন। এটি অন্যান্য চর্বি জমতে থাকে। কখনাে এসব চর্বির আসলে মস্তিষ্কের অসুখ ।
কোনাে কারনে মস্তিষ্কের দলা ছুটে গিয়ে মস্তিষ্কের রক্তনালি আটকে দেয়। রক্তনালি আটকে গেলে অথবা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ উচ্চ রক্তচাপে ক্ষুদে রক্তনালি দুর্বল থাকে। এগুলাে । ঘটলে স্ট্রোক করে।
ছিড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক হতে পারে। স্ট্রোক মূলত দুধরনের। একটি রক্তক্ষরণজনিত রক্তচাপ ১২০/৮০ মাঝে রাখতে পারলে সর্বোত্তম। এবং আরেকটি রক্তপ্রবাহ বন্ধ হওয়াজনিত। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে যাপিত জীবনে অধিকাংশ স্ট্রোক হচ্ছে রক্তনালি বন্ধ হওয়াজনিত। পরিবর্তনের পাশাপাশি ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
স্ট্রোক প্রতিরােধের নিয়মগুলাে জেনে রাখুন কারও একবার স্ট্রোক হলে নিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ খাদ্যতালিকা বদলে ফেলুন । কম চর্বি, বেশি দ্বিতীয়বার স্ট্রোক কিংবা মিনি স্ট্রোক প্রতিরােধে ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। সম্পৃক্ত চর্বি ভূমিকা রাখবে।
জাতীয় খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। চর্বিযুক্ত ধূমপান ছেড়ে দিন : ধূমপানে রক্তনালির । মাংস, আইসক্রিম, বার্গার, চিজ, অতিরিক্ত স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়, রক্তনালির পুরুত্ব বেড়ে । লবণযুক্ত খাবার পরিহার করুন। খাদ্যতালিকায় যায়, রক্ত চলাচলের পথ সরু হয়ে পড়ে, রক্ত যােগ করুন ফলমূল ও সবজি।
জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। ধূমপানে সৃষ্ট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন : বেশি কোলেস্টেরল নিকোটিন রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এবং কার্বন- রক্তনালি আটকে দিতে পারে। হতে পারে স্ট্রোক, মনােক্সাইড রক্তে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা হার্ট অ্যাটাক। কোলেস্টেরল, এলডিএল এবং ট্রাই কমায়। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে গ্লিসারাইড হলাে শত্ৰু চর্বি।
এসবের মাত্রা কমিয়ে যায়। যারা প্রত্যক্ষ ধূমপান করেন তাদের, এমনকি রাখুন। বন্ধু হলাে কোলেস্টেরল এইচডিএল। রক্তে যারা অপ্রত্যক্ষভাবে ধূমপানের সঙ্গে জড়িত, এর মাত্রা উপরের দিকে রাখুন। তাদেরও রয়েছে স্ট্রোকের ঝুঁকি।
| স্ট্রোক প্রতিরােধে আরও যা করবেন তা হলােডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন : রক্তে মাত্রাতিরিক্ত নিয়মিত শরীরচর্চা, নাক ডাকার চিকিৎসা নিন, চিনি রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত করে, রক্তনালির অভ্যন্তরে।
অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন, হৃদপিণ্ডের ছন্দ রক্ত জমাট বাঁধতে প্ররােচিত করে। স্ট্রোকের ঝুঁকি ঠিক রাখুন। তবেই ভালাে থাকবেন। সুস্থভাবে বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ । চিকিৎসকের পরামর্শে জীবনযাপন করতে পারবেন। রক্তে চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখুন।
লেখক : মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও ওজন কমান : স্থূলতা এবং এর সঙ্গে জড়িত
এন্ডােক্রাইনােলজিস্ট, সিএমএইচ জটিলতা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। বেশি ওজনধারী
চেম্বার : আল রাজি হাসপাতাল হলে ১০ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমালে স্ট্রোকের ঝুঁকি
(দ্বিতীয়তলা) ফার্মগেট, ঢাকা অনেকাংশে কমে যাবে।
০১৭৫৬১৭৩৭৬৫; ০১৭২৬০৫০৯১২
- এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।