সিলেটশুক্রবার , ২রা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রিকেট
  8. খেলা
  9. গণমাধ্যম
  10. জবস
  11. জাতীয়
  12. জোকস
  13. টপ নিউজ
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দেশে বাইরে

সোনামণির প্রথম স্কুল

পুর্বের আলো অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ডিসেম্বর ২০, ২০২২
Link Copied!

বাবা-মায়েরা হেলায়ফেলায় সন্তানদের ছয়-সাত বছর পার করেও স্কুলে দেন না। একটা সময় ছয় বছর বয়স হলে শিশু প্রাইমারি স্কুলে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হবে, এটাই ছিল স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু দিনে দিনে অন্য অনেক কিছুর মতো শিক্ষাব্যবস্থা যেমন পালটেছে, তেমনি বিস্তৃত হয়েছে মানুষের চিন্তাজগত্ সোনামণির প্রথম স্কুল করোনার দুই বছর ছেলেকে ভালো করে পড়াতে পারেননি রুহিনা।

তাই আট বছর হয়ে গেলও ভালো কোনো স্কুলে ভর্তি করাতে পারেননি ছেলেকে। রুহিনা বলেন, বড় ছেলেকে চার বছর শেষ হওয়ার আগেই স্কুলে পাঠিয়েছিলেন। করোনার জন্য ছোট ছেলের বেলায় ব্যত্যয় হলো। তাই একটা ভালো স্কুলে ভর্তি করতে তাদের চিন্তার অন্ত নেই।

এখন আর বাবা-মায়েরা হেলায়ফেলায় সন্তানদের ছয়-সাত বছর পার করে স্কুলে দেন না। একটা সময় ছয় বছর বয়স হলে শিশু প্রাইমারি স্কুলে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হবে, এটাই ছিল স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু দিনে দিনে অন্য অনেক কিছুর মতো শিক্ষাব্যবস্থা যেমন পালটেছে, তেমনি বিস্তৃত হয়েছে মানুষের চিন্তাজগত্।

সন্তানের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের প্রারম্ভটা আর বাবা-মায়ের কাছে নেহায়েত কোনো তুচ্ছ বিষয় নয়। বিশেষ করে সন্তানের মায়েরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন থাকেন শিশুর প্রাতিষ্ঠানিক হাতেখড়ি নিয়ে। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে যুক্ত হয় ভালো প্রতিষ্ঠানে শিশুর ভর্তি নিয়ে প্রতিযোগিতা।

সন্তানের মঙ্গলার্থে বাবা-মা যথাসম্ভব অল্প বয়স থেকেই তার শিক্ষাপ্রক্রিয়া শুরু করতে চান। উপরন্তু নামকরা বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আদাজল খেয়ে লাগার অবস্থা। বেশির ভাগ পরিবারেই শিশুকে বিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তুতকরণের গুরুদায়িত্ব থাকে মায়ের ওপরে। স্কুলে স্কুলে, কোচিং সেন্টারে মায়ের আবার যেন সন্তানদের জন্য পড়াশুনা শুরু করেন এমন অবস্থা দাঁড়ায়।

প্রায় ক্ষেত্রেই মা এবং সন্তান, যুগল শিক্ষার্থী হয়ে ওঠেন। দেখা যায়, লেখাপড়ার চাপটা সন্তানের জন্য যতখানি, মায়ের জন্য তার চেয়ে একবিন্দু কম নয়। এটা সবকটাই জরুরি—জানতে চাইলে জানা যায়, এতে একদিকে যেমন মায়ের মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুর সহজাত বেড়ে ওঠা।

বিশেষজ্ঞগণ বলেন, শিশুর ভাষাজ্ঞান লাভের পর থেকে পরবর্তী কয়েক বছর পর্যন্ত বুদ্ধিবৃত্তিক, আবেগিক ও সামাজিক বিকাশ ব্যাপকভাবে ঘটে থাকে। এ সময়ে শিশুর ওপর অতিরিক্ত মানসিক চাপ তার এই স্বাভাবিক বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিপুল পরিমাণ বইয়ের ভার শিশুর কাছে বোঝার মতো হয়ে দাঁড়ায়। ফলশ্রুতিতে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে তারা।

কখনো কখনো তাদের মনে জন্ম নেয় বিদ্যালয়ভীতি। শিশুকে প্রতিযোগিতার মুখে ঠেলে দিলে আহত হয় তার সরল সত্তা; স্বতঃস্ফূর্ত জ্ঞানার্জনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে সে হয়ে পড়ে যন্ত্রমানবের মতো। শিশু হারায় তার সৃজনশীলতা, যা এদিন সমগ্র জাতির জন্যই দুর্ভোগ বয়ে আনবে। আজকের শিশু প্রজন্ম, তথা আগামীর জাতিকে দুর্দশার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পরিবার এবং সমাজের প্রতিটি মানুষেরই বিশেষভাবে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। শিশুর ওজনের চেয়ে ভারী বইয়ের বোঝা তার পিঠে দেওয়া আগে বাবা-মাকে আর একবার ভাবার পরামর্শ দেন তারা।

  • এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।