বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে সেমিতে পাকিস্তান,সকালেও ম্যাচের সমীকরণ ছিল এমনজিতলেও সেটি যথেষ্ট না-ও হতে পারে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত খেলবে আগে-পরে, যেখানে তুলনামূলক ‘সহজ’ প্রতিপক্ষ দুই দলের জন্যই। ওই দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত তাদের, মাঝে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের ফল কোনো প্রভাবই ফেলবে না।
তবে অ্যাডিলেডে দিনের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ঘটাল বিশ্বকাপের অন্যতম বড় অঘটন। দক্ষিণ আফ্রিকার হারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সমীকরণটা হয়ে গেল সরল- জিতলেই সেমিফাইনাল! ১০ নভেম্বরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের। তার আগের দিন প্রথম সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে হারানো পাকিস্তান। প্রথম আলো খেলার খবর
তবে অ্যাডিলেড ওভালে এদিন বাংলাদেশের বোলারদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে বেশ কিছু অতিরিক্ত রান দিয়ে ফেলে তারা। তাছাড়া, ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংও ছিল হতাশাজনক। ক্যাচের সঙ্গে রানআউটের সুযোগও হাতছাড়া করে তারা।
আরও ছিল বেশ কয়েকটি মিস ফিল্ডিং। ইনিংসের তৃতীয় বলেই পাকিস্তানের উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপজুড়ে আলো ছড়ানো পেসার তাসকিন আহমেদের অফ স্ট্যাম্পের বাইরে পিচড হয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল লেগেছিল রিজওয়ানের ব্যাটে।
সুবিধাজনক উচ্চতায় থাকলেও তা গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান । পরের বলেই সোহানের ভুলের ক্ষতকে গভীর করে আক্ষেপ বাড়ান রিজওয়ান। টপ এজে তিনি ছক্কা পেয়ে যান ফাইন লেগ দিয়ে। তাসকিনের পরের ওভারে ফ্লিক করে চার মারেন বাবর। সাকিব আক্রমণে এসে খরুচে বল করেন। পরপর দুই বলে
তবে এমন সূবর্ণ সুযোগও হেলায় হারাল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের দলকে কাঁদিয়ে শেষ চারের টিকিট কাটল বাবর আজমের দল। গতকাল অ্যাডিলেডে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ১১ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাবরের দল।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে সেমিতে পাকিস্তান
একই দিন গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে সেমিফাইনালের লাইনআপু চূড়ান্ত করেছে ভারত। ৭১ রানের বড় জয়ে রোহিত শর্মার দল বাউন্ডারি আদায় করেন রিজওয়ান। পাওয়ার প্লে শেষে ফ্রি-হিটে ছক্কা মারেন হারিস। পরের ওভারে সাকিবকে দুবার পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৩৫ রান। রান সীমানাছাড়া করেন শান। ১৮ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ৩১ রেট ছয়ের নিচে থাকলেও দুই ওপেনারের ওপর চাপ জেঁকে রান করা হারিস সাকিবের শিকার হন। পয়েন্টে দারুণ ক্যাচ বসেনি। কারণ, সামনে থাকা বল ও রানের সমীকরণে ছিল নেন নাসুম।
এরপর ইফতিখারকে দ্রুত বিদায় করেন বাঁহাতি না বেশি ব্যবধান। বাউন্ডারির চাহিদা না থাকায় হাত খােলার পেসার মােস্তাফিজ। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচের ফল প্রায়। | তাড়া দেখা যায়নি বাবর ও রিজওয়ানের মধ্যে। তারা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। ইবাদতের লাে ফুল টস ডিপ স্কয়ার সিঙ্গেল-ডাবল নিয়ে এগােতে থাকেন। একাদশ ওভারে ৫৭ লেগে ঠেলে ডাবল নিয়ে পাকিস্তানের জয়ের লক্ষ্য মিলিয়ে রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ।
প্রথমবারের ফেলেন শান। তিনি ১৪ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। মতাে এবারের আসরে খেলতে নামা বাঁহাতি স্পিনার বিদায় অন্যপ্রান্তে থাকা শাদাব খানকে কোনাে বল মােকাবিলা করেন বাবরকে। টপ এজ হয়ে মােস্তাফিজুর রহমানের করতে হয়নি। তাসকিনের সঙ্গে বােলিংয়ের উদ্বোধন করা তালুবন্দি হন বাবর। ৩৩ বলে ২ চারে তার রান ২৫।
নাসুম ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচায় পান ১ উইকেট একই পরের ওভারে আক্রমণে ফিরে উইকেট তুলে নেন পেসার স্বাদ নিতে সাকিব, মুস্তাফিজ ও ইবাদত দেন যথাক্রমে ৩৫, ইবাদত হােসেন। তিনিও এই বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচে ২১ ও ২৫ রান। নেমেছিলেন। পয়েন্টে রিজওয়ানের ক্যাচ লুফে নেন নাজমুল এর আগে ইনিংসের মাঝপথে ভালাে সংগ্রহের দিকে হােসেন শান্ত। রিজওয়ান ২ চার ও ১ ছয়ে ৩২ বলে ৩২ রান এগােচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু একাদশ ওভারে সৌম্য করেন।
এক বলের ব্যবধানে ফের উল্লাসে মাততে পারত সরকার ও আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সাকিবের বাংলাদেশ। মাত্রই নামা মােহাম্মদ নওয়াজ ভুল বােঝাবুঝিতে বিদায়ে খেই হারায় তারা। অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার হতে পারতেন রানআউট। কিন্তু শান্তর থ্রো স্টাম্প খুঁজে ভিড়ে উজ্জ্বল হয়ে থাকে ওপেনার শান্তর ফিফটি। পায়নি। বরং ওভারথ্রোতে বাউন্ডারি পেয়ে যায় পাকিস্তান।
শান্ত বলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন। ৪৮ বলের বাংলাদেশের জেগে ওঠা ক্ষীণ আশা টেকেনি বেশিক্ষণ। ইনিংসে তিনি মারেন ৭ চার। তার বাইরে দুই অঙ্কের চতুর্দশ ওভারে ইবাদতের ওপর চড়াও হন হারিস। কাভার রানে পৌছাতে পারেন কেবল তিন ব্যাটার।
পাকিস্তানের ড্রাইভে চার মারার পর পুল করে পেয়ে যান ছক্কা। কমে জার্সিতে দারুণ বােলিংয়ে আলাে কাড়েন পেসার শাহিন আসে প্রয়ােজনীয় রান ও বলের মধ্যকার ব্যবধান। লিটন শাহ আফ্রিদি। ২২ রান খরচায় তিনি পান ৪ উইকেট। ২ দাসের সরাসরি থ্রোতে থামে নওয়াজের ইনিংস। ধুকতে উইকেট নিতে লেগ স্পিনার শাদাব দেন ৩০ রান।
১০.৩ থাকা বাঁহাতি ব্যাটার ৪ রান করেন ১১ বল খেলে। তবে ওভারে টাইগারদের রান ছিল ১ উইকেটে ৭৩। পরের। জমে যায় হারিস ও শানের জুটি। চতুর্থ উইকেটে ১৪ বলে ৫৭ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে কেবল ৫৪ রান আনতে পারে ২৯ রান যােগ করেন তারা।
তারা। মােসাদ্দেক হােসেন ও সােহানের ব্যাটিং জাগায় | তাসকিনের করা ইনিংসের ১৬তম ওভারে ১৬ রান তুলে তীব্র হতাশা। আফিফ ২০ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থ ম্যাচের পাল্লা নিজেদের দিকে নেয় পাকিস্তান। ওই ওভারে কিলেও চ্যালেঞ্জিং পুঁজি আর পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
আরও পড়ুনঃ প্রথম আলো খেলার খবর
- এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।
